ট্রেডমার্ক কি?
ট্রেডমার্ক , কোন দৃশ্যমান চিহ্ন বা ডিভাইস যা একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দ্বারা ব্যবহৃত পণ্যগুলি সনাক্ত করতে এবং অন্যদের দ্বারা তৈরি বা বহন করা পণ্যগুলির থেকে আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়৷ ট্রেডমার্ক হতে পারে শব্দ বা শব্দের গোষ্ঠী, অক্ষর, সংখ্যা, ডিভাইস, নাম, পণ্যের আকৃতি বা অন্যান্য উপস্থাপনা বা তাদের প্যাকেজ, চিহ্নের সাথে ।ট্রেডমার্ক আইন নিয়ে আরো জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।

ট্রেডমার্ক করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
সাধারনত ট্রেড লাইসেন্স করতে নিচের কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হয়
- (১) মার্ক/লোগো/ডিভাইসের নাম, প্রতিরূপ এবং তার বিবরণ
- (২) আবেদনকারীর নাম আবেদনকারীর ঠিকানা ও জাতীয়তা/ আবেদনকারী কোম্পানি হলে তার বিস্তারিত
- (৩) পণ্য/সেবার সবিস্তার বিবরণী ও ধরণ
- (৪). মার্ক ব্যবহারের তারিখ ( যেদিন থেকে ট্রেডমার্ক ব্যবহার শুরু হয়েছে বা যেদিন থেকে ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবিত হোক)
- (৫) সাধারণ/নির্দিষ্ট মোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি), যা পরবর্তীতেও নথিভুক্ত করা যায়।
কত সময় লাগে?
বাংলাদেশে বাংলাদেশ পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করতে হয়। এই আবেদনটি অনলাইনে করা যায়। বাংলাদেশে ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ এবং ট্রেডমার্ক বিধিমালা, ২০১৫ এর অনুসারে নিবন্ধনের পুরো প্রক্রিয়াটি ৪-৫ টি ধাপের মাধ্যমে সমাপ্ত করতে হয়। যাতে প্রায় দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
কেমন খরচ হয়?
এখন যদি আমরা ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের সাধারন সরকারী খরচ দেখি তাহলে তা আসে নিন্মরুপ;
- নাম সার্চ: ২০০০ টাকা
- আবেদনের: ৫০০০ টাকা
- আইনজীবী নিয়োগ: ১০০০ টাকা
- আবেদন পরিক্ষা: ৪০০০ টাকা
- জার্নাল বা গেজেটে বিজ্ঞপ্তি: ৩০০০ টাকা
- ট্রেডমার্ক নিবন্ধন: ২০০০০ টাকা
ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের সর্বমোট সরকারী খরচ: ৩৫০০০ টাকা এবং ভ্যাট ৫২৫০টাকা সর্বমোট: ৪০২৫০ টাকা।
এছাড়াও আপনি যদি আইনজীবী নিয়োগ করেন তার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অনুসারে এবং আপনার কাজে অবস্থা বুঝে সে আপনাকে লিগ্যাল ফি চার্য করবে।
ট্রেডমার্ক করতে আমাদের পরামর্শ ও সেবা নিন
